আশ্রয় / ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় / বাংলা ছোট গল্প / বর্ষবরণ সংখ্যা /

রহস্য গল্প আশ্রয় ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় “বাড়িতে কেউ আছেন? আমি রজতাভ। মাসিমা। দরজা খুলুন।” রজতাভ অনেক ক্ষণ এই দরজার কাছে দাঁড়িয়ে। রজতাভ মৈত্র। চুঁচুড়ার ছেলে। হাওড়াতে ফ্ল্যাট আছে।সম্প্রতি চাকুরি সূত্রে থাকে হায়দরাবাদ। এখন তার অনেক নাম আর প্রতিপত্তি। কিন্তু একদিন এই বাড়িতে তার কত সময় কেটেছে। নতুন জীবনের হাতছানি তাকে এই সব দিন গুলো ভুলিয়ে দিয়েছিল।…

ভিটের টানে (প্রথম পর্ব) / সলিল চক্রবর্ত্তী / বাংলা ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী / বর্ষবরণ সংখ্যা /

ভিটের টানে (প্রথম পর্ব) সলিল চক্রবর্ত্তী ভারতীয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের রুলস অফ রেগুলেশন মোতাবেক  বডি – লাগেজ চেকিং, পাসপোর্টে শিলমোহর বসিয়ে কোলকাতা স্টেশনের প্লাটফর্মে প্রবেশ করলাম সকাল সাড়ে ছটায়। ইন্টারন্যাশনাল মৈত্রী এক্সপ্রেস দৈত্যের মতো চেহারা নিয়ে ইঞ্জিনের গোঁ গোঁ শব্দে প্লাটফর্মের সামনে দণ্ডায়মান, সময় মতো যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরুর অপেক্ষায়। সস্ত্রীক, টিকিটে কোচ নাম্বার ‘বি১’ দেখে…

লাল পাথরের দুল / কর্ণ শীল / বাংলা ছোট গল্প / বর্ষবরণ সংখ্যা /

★ লাল পাথরের দুল ★ কর্ণ শীল ———– “ভালো একখানা বেসেছিলাম, বুঝলি? “খুড়ো বিড়িটা দাঁতে কামড়ে ধরলো। সৌভিক বেমক্কা বলে উঠলো, “আহা! আহা! “ বেণীখুড়ো মরা মাছের মত চোখে তার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো, “বোঝো! প্রেমিকের বাদশা একেবারে। প্রেমের নাম শুনেই আহা আহা করতে লেগেছে। পুরোটা শোন, না কি? সে বড় দর্দনাক দাস্তাঁ। “ সৃঞ্জয়…

যাত্রাপথের আনন্দগান / শ্যামাপ্রসাদ সরকার / বাংলা ছোট গল্প /

যাত্রাপথের আনন্দগান – শ্যামাপ্রসাদ সরকার   শেষ বসন্তের মত মেঘপ্লাবী বর্ষাকালের অন্তিম লগ্নটিও নেহাত অসুন্দর নয়। তাই অন্য সময়ের শীর্ণদেহী কোপাই নদীটি এখন যৌবনজলতরঙ্গে বেশ স্ফীতা হয়ে আকূলিতা। চারিপার্শ্বিক আম্রকুঞ্জ সহ অন্যান্য বনবীথিকাগুলিও এখন ধারাবর্ষণের আবেশে যেন পরম মুক্তিস্নাতা। এই ‘মুক্তিস্নাতা’ শব্দবন্ধটির মধ্যে থেকে আজ সকাল থেকেই ‘মুক্তি’ শব্দটাই থেকে থেকে যেন কানে এসে কেবল…

গর্ভধারিনীর অধিকার / সলিল চক্রবর্ত্তী / বাংলা ছোট গল্প /

গর্ভধারিনীর অধিকার সলিল চক্রবর্ত্তী (১) অপর্ণা বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়িতে এসেই বাইরের পোশাক না ছেড়ে বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ গুজে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল। কিংকর্তব্যবিমূঢ় আলাপন কিছুক্ষন স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে  থেকে এই মুহুর্তে কি করণীয় বুঝতে না পেরে অপর্ণার মাথায় বার দুয়েক হাত বুলিয়ে বাবা মা’র ঘরের দিকে চলে গেল। ********** দাদাবাবুরা খাওয়া দাওয়া করে বা’র হবেন…