সজনেফুল (দ্বিতীয় পর্ব) ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামাচরণ যে একেবারেই অভাবী ঘরের ছেলে তা কিন্তু নয়। ওদের পূর্বপুরুষ ছিল গৈলার। দেশভাগের সময় চলে আসে। তবে জন্মগত আর রন্ধ্রগত শনি ওকে জর্জরিত করেছে। অনেকে আবার বলেছে “শ্যামাচরণ!তুই অষ্টম গব্বের সন্তান। তাই তোর এমন দশা। শ্যামাচরণ এসব কতবার শুনেছে। কখনও বলেছে “কী রকম কথা
চে’ গুয়েভারা-কেই -শ্যামাপ্রসাদ সরকার এই যে দেখছ! এই দৃঢ়তম মুঠি তোমায় উপহার দিলাম হে ভাবীকাল! প্রতিটা দুঃস্বপ্ন হোক আজ থেকে অতীত ইতিহাস! আবার জেগে ওঠ! নির্ভয়ে! হতাশার আর্তনাদ শুনেছি যে আজন্ম কত নদী বয়ে গেছে আন্দিজ পর্বতের ঢালে তারাও যেমন পিপাসার্ত হয়ে কেঁদে গেছে বঞ্চনায় দেখেছে অসাম্য বাহুবলে তাদের চারপাশে
আপন জন (পর্ব ত্রয়োবিংশ) কাকলি ঘোষ কল্পনা হাতে চা আর একটা বাটিতে কী যেন নিয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এল। এত সুন্দর ধপধপে সাদা কাপে চা ! সঙ্গে আবার মেলানো ডিস ! ওর জন্য ! অবাক হয়ে যায় রিন্টি। বাড়িতে দাদা বৌদিরাও খেত চা। সে তো কোনটা হাতল ভাঙ্গা, চটা ওঠা,
মাতৃ দিবস বাসুদেব চন্দ আগামীকাল মঙ্গলা ভীষণ ব্যস্ত থাকবে। সব বাড়ি থেকে বলে দিয়েছে তাড়াতাড়ি যেতে, কাল নাকি ঘরে ঘরে ঘটা করে ‘মায়ের দিন’ পালন করা হবে! মঙ্গলা মনে মনে ভাবলে-“জানি নে বাপু, মায়ের-দিন, বাবার-দিন বলে কোনও দিন আবার হয় না কি! আমার বাপ- মায়ের যদি আলাদা আলাদা দিন হতো,
ঊষার আলো বাবু বিশ্বাস আজকে হঠাৎ ঊষার আলোয় চোখ খুলেই দেখি ওমা; পশ্চিমেতে চন্দ্র মামা পূর্বে সূর্য্য সেকি! কিচির মিচির কুহু কুহু পাখ পাখালীর রবে__ এক আকাশে দুটি মামায় ভীষণ মজা হবে! আহা; কি অপরূপ আকাশ খানি রামধনু রঙেতে, বৃষ্টি সেরে গুচ্ছ মেঘের পালক সুদূরেতে, নৌকা মাঝি বাইছে তরী গাইছে