রোজনামচা-১ শ্যামাপ্রসাদ সরকার আজকাল অল্পেতেই রাগ ধরে বলে, ছুঁইনা কোন আসব পরিহাস দিগ্বিজয়ী বাসব হতে গেলে, যা যা চাই তার কিছুই পাইনি বলে উচ্ছ্বাসে কাব্য করি, এটুকুই যা শ্বাস-প্রশ্বাস। আসলে একদিন আসত আমারো, যেদিন চোখ খুলেই ভাল লাগত যাপন, চেনা গন্ধ নাকে আসত কারো… আবার বালিশ টেনে নিয়ে কপট নিদ্রায়,
হেমন্তিকা কবি :- অনিমেষ চ্যাটার্জি এখন ভোরের গায়ে কুয়াশার আদর, হঠাৎ বিকেল ঘেঁষা সন্ধ্যে চাদর, দূরে মিলিয়ে যায় ঢাকের বোল, উজানে ভাসে ঘুমন্ত খড়, মাটি, সাজ। হেমন্তের ম্রিয়মাণ শিউলি বাসে কার্তিকের দীপালি আলোয় বারুদের ঘ্রাণ মেশে। শিরশিরে হাওয়ায় নতুন ধানের ক্ষেতে আসন্ন অগ্রহায়ণের চিঠি। আমি পাতা ঝরা অমল আলোয় ভুটিয়া
সাধনার সজ্জা শিব প্রসাদ হালদার অপবিত্র অশান্ত চিত্তে পবিত্রতার উপাসনায়, শত শত মন্ত্র উচ্চারণেও; হবে কি সার্থক-যথার্থ সৎ সাধনা ? ব্যর্থ আরাধনার ব্যথায় ব্যাকুল চিত্তে, ঠিক তখনই বুঝবে- নির্ভেজাল পবিত্রতার সাধনা ছাড়া, কখনও হয়নি-হবেও না যে কোন মহৎ কাজ! তুমিও করো না চেষ্টা, অবশেষে ব্যর্থতার ব্যথায়-সবই হবে বিফল; তোমার
কত অসহায় কিশোর বিশ্বাস গ্রামে খুব দুষ্টামি করত বলে মাতৃহীন চন্দনকে তার বাবা কলকাতা পিসির বাড়িতে পাঠিয়ে দিল।চন্দন ও শহরে আসবে ট্রামে চড়বে, গাড়িতে চড়বে ভেবে দু,দিন খাওয়া ঘুম ত্যাগ করল কিন্তু এখানে এসে পদেখল শহর নির্মম, নিষ্ঠুর,প্রাণহীন । সে গ্রামের মাছ ধরা, হা ডু ডু খেলা স্মরণে এনে
বারবণিতার জীবন যুদ্ধ মিতা ঘোষ প্রতি রাতে চারদেওয়ালের মধ্যে বাবুদের তার শরীর নিয়ে খেলা করা পুষ্পিতার নিত্য পরিচিত, তবুও আজ খুবই বিরক্ত লাগছে যেন! তার মনটাও বড়ই অস্থির। কারণ আগামীকাল তার মেয়ে বহ্নির মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। তাই পুষ্পিতা চেয়েছিল আজ রাতটা মেয়ের সঙ্গে কাটাতে। কিন্তু বারবণিতার আবার ইচ্ছা