কিছু প্রলাপ ✍ শ্যামাপ্রসাদ সরকার     যদি চলে গিয়ে থাকি অবাক জারুলের পাশটিতে, তোমার সূচনা বরং কাঁপুক ছবিঘরে একা! আমি অনন্ত সময় হয়ে চলে যাই তবে! আমার জন্মদাগটুকু রেখে যাব জেনে রেখ, প্রতিটি ঐহিক অবহেলার দেহভোগে! আজ বিনিদ্র আমি তাই আমার প্রতিটি রাত্রি আসুক নিঃসঙ্গ নৈতিকতা ভেঙে দিয়ে। মরণের
নববর্ষ ✍ সলিল চক্রবর্ত্তী       “গুড মর্নিং দাদু, হ্যাপি পয়লা বৈশাখ।” বছর দশেকের নাতি টয় প্যান্টের ভিতর জামা গুজতে গুজতে ভীষণ ব্যাস্ততার সাথে অমিতাভ বসুর ঘরে ঢুকে উইশ করেই বেরিয়ে যাচ্ছিলো। কারণ দেরি হলে মা বকবে। সপ্তাহে এক দিন ড্রয়িং ক্লাস লেট হলে পিছিয়ে পড়বে। দাদু মুচকি হেঁসে
নববর্ষ-চৌদ্দশ আঠাশ ✍ শিব প্রসাদ হালদার     এলো আজ নতুন বছর চৌদ্দশ আঠাশ, আঁধার কাটিয়ে পূর্বাকাশে রক্তিম পূর্বাভাস। ফেলে আসা বছরটিতে যা হারালাম আমরা সবাই, আরো ভালো আরো বেশি পাই যেন তাই সবাই। হে বিধাতা! সুখী করো অ-সুখেতে আছে যারা, হেসে-খেলে কাটুক বছর ধন্য হোক সবাই তারা। বিশ্বজুড়ে সুখের
// বর্ষবরণ // ✍ অনিমেষ     চৈতি রাতের শেষে সময়ের কোল থেকে টুপ করে খসে পড়ে গেল একটা বছর। ক্যালেন্ডারের পাতা জুড়ে তারিখের ঘর মেপে এক্কাদোক্কা খেলা একটা গোটা বছর। অকাল মৃত্যু, নক্ষত্র পতন, পরিযায়ী, সাধু-চোর, রাজা-রাণীর গল্পে ভেজা জরাজীর্ণ একটা বছর। পেয়ালা পিরিচ আর চায়ের কেতলির সুরে সুর
নববর্ষ ✍ সুমান কুণ্ডু     সুস্বাগতম! ১৪২৮ নববর্ষ উঠুক জ্বলে চারিধারে আলো বুদ্ধি জ্ঞানের দীপ্ত স্পর্শ সবাই যেন থাকে ভালো। ‘নেই! নেই!’ হাহাকারের মাঝে না পাওয়ার আর্তির সাথে সকল চাওয়া-পাওয়া যেন সাজে থাক সবাই বেঁচে ‘দুধে-ভাতে’। দুবেলা ভরপেট মাছ-মাংস না খেতে পেলেও যেন না হয় আমাদের সব কথার অপভ্রংশ