“লক্ষ্মীমঙ্গল“ ✍ ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল থেকেই মঙ্গল মুন্ডা গম্ভীর হয়ে আছে। লক্ষ্মীমণি আজ আসে নি। গঙ্গার বিয়েতে রয়ে গেছে। ওখানে নাচ হবে।আদিবাসী নাচ। ধামসা মাদলের তালে তালে রক্তটাও নেচে ওঠে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই রীতি। গঙ্গাটার বিয়ে। বেশ ধূমধাম করেই হচ্ছে। তবে বর দোজবরে। তা হোক। ওরা পান সুপারি
(আমরা পত্রিকার পক্ষ থেকে সবাই আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।) হে অরণ্য ! হে বিষাদ অগ্নি ********************** ✍ শ্যামাপ্রসাদ সরকার অরণ্যের আগুনে পুড়িও, বিষাদের শালবৃক্ষ আমার! এ দেহটুকুই তো অাছে, অনির্বাণ হুতাশনকে দেব বলে সুগন্ধী কস্তুরীঘ্রাণ মেখে শুয়ে আছি, অনাঘ্রাত নাভীমূলে, গোপনে.. অন্তিমদহনের আগে যদি চোখের ওপর রেখে
“কবিতা নক্ষত্রগামী” ✍ ডঃ বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় (উৎসর্গ: শান্তনু বন্দোপাধ্যায়) দ্বিধাপলকের মাঝে মুছে যায় জীবিতের মুখ যেন এই পৃথিবীর বিপ্রতীপে একাকী নিভৃত তুমি ছিলে দোলাচলে, যেন এক ভীত আগন্তুক যেভাবে যুবতী জানে স্পর্শে কার বেড়ে যেত শীত। আনন্দনগরী জুড়ে বাজি আর ক্ষোভের তর্জনী কুয়াশা গভীর তবু অন্ধকারে জ্বলে ওঠে
// শরীরে বিষকণা // ✍ অনিমেষ কিছু বিচ্ছিন্ন চিন্তায়, সময়ের দীনতায়, অনাবিল স্রোতে ভাবনায়, ক্রমাগত দিন যায়, ক্লান্ত শরীরের ভার বিছানায়। রোদ আসে প্রতিদিন, ক্ষয়ে যাওয়া লাল চাঁদ বিষণ্ণ জানলায়, হাত নেড়ে ভালবাসা জানায়। চোখ মেলি রোজ, আবার ঘুমের ঘোরে ঢলে পড়ে শরীর জোর করে গোগ্রাসে ভোজ। পৃথিবীর
“জীবন দর্শন” ✍ মৃনাল কান্তি বাগচী হৃদয় দিয়ে ভালোবাসলে কাউকে তার চলে যাওয়া হৃদয় নাহি চায় মানতে। আপন জনের বিদায় মনকে বড়ই কাঁদায় তবুও তাকে বিদায় দিতে হয়। হৃদয়ের কথা হৃদয়েই জানে সে ব্যথা নাহি জানে অন্যজনে। পাতার ঝরে যাওয়ার ধ্বনি কেহ শুনিতে নাহি পায় তবুও পাতা ঝরে